Wednesday, October 21, 2020

Root, Custom Recovery, Custom Rom, Custom Kernel সহ সব এক্সপার্ট লেভেলের কাজের বিস্তারিত।

 আলোচনা:

যারা এন্ড্রয়েড ডিভাইস ইউজ করেন তাদের প্রায় সবারই Root শব্দটার সাথে পরিচয় আছে।

কিন্তু বেশিরভাগ লোকেই  এ সম্বন্ধে ভালোভাবে বুঝেনা।

তাই রুট করতে গিয়ে এবং রুট করার পর অনেক ভুলভাল  কাজ করে।

যার ফলে ডিভাইস ব্রিক হয় এবং ফলশ্রুতিতে বলা হয় যে, রুট করলে ফোনের ক্ষতি হয়।

অনলাইনে ছেড়া ছেড়া লাখ লাখ পোস্ট পাবেন রুট নিয়ে।

কিন্তু সঠিক মতামত, পদ্ধতি ও পরামর্শ নিয়ে কমপ্লিট কোনো পোস্ট নেই।

তাই আমার এই আর্টিকেলটি লেখা।

এই লাইনে নতুন হলে বা এক্সপার্ট না  হলে এই আর্টিকেল আপনার জন্য অবশ্যপাঠ্য।

তাই আর দেরি না করে চলুন  শুরু করা যাক।

Top 4 Solutions on How to Root Android Phone

প্রথমেই বলি

রুট কী?

Android Basics: What Is Root? « Android :: Gadget Hacks

আপনি যখন ডিকশনারিতে Root লিখে সার্চ দিবেন, তখন এর অর্থ পাবেন গাছের  শেকড় বা মূল।

কিন্তু লিনাক্সের (এন্ড্রয়েড হলো লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম) জগতে এর ব্যাখ্যা কিছুটা ভিন্ন।

এখানে রুট অর্থ বুঝায় Administrator বা প্রশাসকের ক্ষমতা।

অর্থাৎ, রুট হলো এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে ডিভাইসের মালিক ঐ ডিভাইসের সম্পূর্ণ ক্ষমতা ব্যবহারের অনুমতি পায়।

রুট কেনো?

Root শব্দের অর্থের (মূল) সাথে এর কাজের ও মিল রয়েছে।

সাধারণত আমরা যখন এন্ড্রয়েড ডিভাইস ইউজ করি, তখন এর বাইরের ফাইলগুলো দেখতে পাই।

সিস্টেমের কিছু ফাইল আলাদা সফটওয়্যার ব্যবহার করে দেখা গেলেও মূল ফাইলগুলো কিন্তু দেখা বা মোডিফাই করা যায়না।

যার ফলে ফোনে কোম্পানির দেয়া রেস্ট্রিকশন ভেঙে অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া সম্ভব হয়না।

কিন্তু আপনি যখন Root করবেন তখন আপনি হয়ে যাবেন SuperUser.

আপনি আপনার ডিভাইসটিকে এর হার্ডওয়্যারের ধারণক্ষমতার মধ্যে ইচ্ছেমত ইউজ করতে পারবেন।

 রুট করার সুবিধা কী?

The Benefits of Rooting your Android Phone | Tablet - YouTube

রুট করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো সিস্টেম লেভেলে কাস্টমাইজেশন।
যেমন, রুট করার পর আপনি যখন ডিভাইসের SuperUser হয়ে যাবেন, তখন চাইলেই আপনি সিস্টেমের বিভিন্ন ফাইল এডিট ও রিপ্লেস করতে পারবেন।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, Kernel Manager দিয়ে ক্লক স্পিড বাড়াতে বা কমাতে পারবেন।
ক্লক স্পিড বাড়ালে ভালো পারফরম্যান্স পাবেন।
আবার কমালে পারফরম্যান্স কমলেও ভালো ব্যাটারি ব্যাকাপ পাবেন।
এছাড়া Kernel এ আরো অনেক Tweak করা যায়।
এগুলো ছাড়াও অনেক এপস আছে যেগুলো SuperUser Permission বা Root Permission ছাড়া কাজ করেনা।
যেমন ধরুন Xposed Framework.
এই এক্সপোসড ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে আমার আগেও একটা বিস্তারিত পোস্ট আছে।
সময় পেলে দেখে নিতে পারেন।
এটি কিন্তু এন্ড্রয়েড ডিভাইসের কাস্টমাইজেশনের জন্য সবচেয়ে কার্যকর একটা সিস্টেম।

রুট কিভাবে করে?

How To Root Your Android Device Using KingRoot | WHITEDUST

এটা আসলে খুব কমন একটা প্রশ্ন হলেও এর উত্তর কিন্তু হাজারটা।
কারণ, প্রতিটি ডিভাইসের পদ্ধতি-ই আলাদা।
তাই আপনি চাইলেও একদম জোর দিয়ে বলতে পারবেননা যে এভাবে করলে হবে।
তবে যেকোনো ডিভাইসের জন্য একটা কমন পদ্ধতি আছে।
সেটা হলো কাস্টম রিকভারি পদ্ধতি।
কাস্টম রিকভারি সম্পর্কে নিচে আলাদা প্যারাগ্রাফ লিখবো।
ওখানে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
তবে রুট করার ক্ষেত্রে যদি আপনার কাস্টম রিকভারি আগে থেকেই ইন্সটল করে রাখেন, তাহলে শুধু SuperSU.Zip অথবা Magisk.zip এই দুটো ফাইল রিকভারিতে গিয়ে ফ্লাশ দিলেই ডিভাইস রুট হয়ে যাবে।
এখন প্রশ্ন হলো,

SuperSU আর Magisk দুটোর মধ্যে কোনটা ভালো?

Magisk Vs SuperSU: What's the Difference?

এক্ষেত্রে কম ভার্সনের এন্ড্রয়েড ডিভাইসের  জন্য SuperSU এপ ভালো।
আর একটু বেশি ভার্সনের ডিভাইস হলে অবশ্যই Magisk ইউজ করতে হবে।
কারণ, Magisk অনেকটা Xposed Framework এর মতো।
এটাতে অনেক মজার মজার Add-ons ইউজ করা যায়।
যেগুলোকে Magisk Module বলে।
Magisk Manager ডিভাইসের SuperUser পারমিশন দেখাশোনার পাশাপাশি অতিরিক্ত অনেক সুবিধা দিয়ে থাকে।
তাই এটাকেই আমি এগিয়ে রাখবো।

কাস্টম রিকভারি ও এর সুবিধা সমূহ:

প্রত্যেক ডিভাইসেরই রিকভারি সুবিধা থাকে।
যাতে কোনো ক্ষতি হয়ে গেলে দ্রুত সময়ে রিকভার করা যায়।
যখন আমরা পাসওয়ার্ড ভুলে যাই তখন ফ্লাশ দিয়ে পাসওয়ার্ড সহ সব মুছে ফেলি।
ফলে Internal Storage এর সব ডাটা হারালেও ফোনে পাসওয়ার্ড ছাড়াই এক্সেস করা যায়।
এটা সাধারণত আমরা করি স্টক রিকভারি দিয়ে।
কিন্তু যদি কাস্টম রিকভারি থাকে, তাহলে খুব সহজেই কোনোপ্রকার ডাটা লস ছাড়াই শুধু পাসওয়ার্ডটা রিমুভ করা সম্ভব।
তখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ ডাটা হারানোর হাত থেকে বাঁচা যায়।


Labels:

0 Comments:

Post a Comment

Subscribe to Post Comments [Atom]

<< Home