7 টি কমন হ্যাকিং টেকনিক যেগুলো আপনার জানা উচিৎ!
7 টি কমন হ্যাকিং টেকনিক যেগুলো আপনার জানা উচিৎ!
হ্যাকিং কি এটা সম্পর্কে আপনার জানানোর প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। ইন্টারনেটের এই যুগে হ্যাকিং কি এই সম্পর্কে জানা না থাকার কোনো মানেই হয় না। হ্যাকিং আজকাল একটি কমব বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। হ্যাকাররা আজকাল হ্যাকিং এর জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে। এই আর্টিকেলে আমি এরকমই কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করব। তো যারা এসব বিষয় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী তারা শেষ পর্যন্ত পরতে থাকুন।
1. Keylogger / Keyboard Capturing
কিলগার হলো এমন একটি পদ্ধতি যেখানে সিস্টেমে কিছু সফটওয়ার রান করা হয় যেটা আপনার টাইপ করা সমস্ত লেখা সেভ করে রাখে। যে ডিভাইজে এই সফটওয়ার রান করা হয়েছে সেই ডিভাইজে আপনি যদি আপনার ইমেইল পাসওয়ার্ড ইত্যাদি ইনপুট করেন তাহলে এই সফটওয়ার আপনার ইনপুটকৃত সব ডাটা সেভ করে রাখবে এবং হ্যাকারকে সরবরাহ করবে। তাই আপনার ফ্রেন্ড বা অন্য কারুর কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে পার্সোনাল ইমেইল এবং পাস অ্যওয়ার্ড ইনপুট করার সময় অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করুণ।
2. Denial of Service / Distributed Denial of Service
ডেনিয়েল অফ সার্ভিস অ্যাটাক হলোও কোনো ওয়েবসাইটের সার্ভার ডাউন করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে কোনো সাইটে একই সময়ে অনেক হিউজ ট্রাফিক নিয়ে আসা হয়। এত বেশী হিউজ ট্রাফিক নিয়ে আসা হয় যে সাইটের সার্ভার একই সাথে এত ডাটা প্রসেস করতে পারে না ফলে ফাইনালি সাইটের সার্ভার ক্রাশ করে। তবে মজার বিষয় এটা যে এই কাজের জন্য হ্যাকার যেসব কম্পিউটার দিয়ে সাইটে ট্রাফিক করে সেসব কম্পিউটারের মালিক নিজেও জানে না যে তার কম্পিউটার কোনো সাইটের সার্ভার ক্রাশে ইউজ করা হচ্ছে। মানে ঐ কম্পিউটার গুলোও হ্যাকার অবৈধ ভাবেই এ্যাকসেস করে।
3. Fake WAP
ফ্রি ইন্টারনেট পেলে কার না ইউজ করার ইচ্ছা হয়! ফ্রি ইন্টারনেটের সোর্সকে ইউজ করেই হ্যাকার ঐ সোর্সে যারা ইন্টারনেট ইউজ করে তাদের পার্সোনাল ডাটা চুরি করে। এই পদ্ধতিতে হ্যাকার একটি ফেক ওয়ারলেস অ্যাক্সেস পয়েন্ট তৈরী করে এবং সেটা কোনো অফিশিয়াল পাবলিক নেটওয়ার্কে কানেক্ট করে। কোনো পাবলিক ওয়াইফাই এর জন্য বেস্ট সোর্স। তাই হ্যাক হয়া থেকে বাঁচতে চাইলে ইউজ না করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। যদি ইউজ করেও থাকেন তাহলে অবশ্যই VPN সার্ভার দিয়ে ইউজ করবেন।
4. Phishing
ফিশিং হলো অনলাইন একাউন্ট হ্যাক করার জন্য একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে হ্যাকার আপনার যে একাউন্ট টার্গেট করে ঐ সাইটের লগইন পেজের মতো একটি লগইন পেজ তৈরী করে। হ্যাকার কোনো ভাবে এই লগইন পেজ আপনার সামনে নিয়ে আসে। এই লগইন পেজ দেখতে অর্জিনাল লগইন পেজের মতো তাই আপনি কিছু না ভেবেই আপনার লগইন ইনফর্মেশন দিয়ে এই ফর্ম পুরন করেন। আর এই ফর্মে এমন কিছু প্রোগ্রাম রান করা হয় যেটা আপনার ইনপুটকৃত সকল ইনফর্মেশন হ্যাকারকে সরবরাহ করে। তাই কোনো সাইটে লগইন করার আগে অবশ্যই সাইটের লিঙ্ক চেক করে নেবেন।
5. Brute Force Attack
ব্রুট ফোর্স অ্যাটাক হলো হ্যাকিং এর জগতে একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি। এটি মুলত একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রাম রান করিয়ে পাসওয়ার্ড ডিকশনারি দিয়ে অটো অ্যাটাক রান করা হয়। কোনো ভাবে ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড মিলে গেলেই ব্যাস্ কাজ হয়ে গেলো! ব্রুট ফোর্স অ্যাটাক থেকে আপনার অ্যাকাউন্টকে বাঁচানোর জন্য সবচেয়ে জরুরী বিষয় হলো শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ইউজ করা।
6. Virus, Trojan, etc.
ভাইরাস অ্যাটাক বর্তমানে একটি কমন হ্যাকিং পদ্ধতি। এমনকি আমরা নিজের অজান্তেই এই অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে থাকি। এই পদ্ধতিতে হ্যাকার ভিকটিমের ডিভাইসে ভাইরাস প্রবেশ করায় যেটা ভিকটিমের ডাটা চুরি করে সরবরাহ করে। আমরা কোনো সফটওয়ারের প্রিমিয়াম ভার্সন ফ্রিতে পেলে সেটা লুফে নিয়ে ইউজ করা শুরু করি। আমরা মোটেও ভাবি না যে হ্যাকার এটার মাধ্যমেই আপনার কম্পিউটার বা স্মার্টফোনে ভাইরাস ঢুকিয়ে দিতে পারে। যদি ভাইরাস অ্যাটাকের হাত থেকে বাঁচতে চান তাহলে অবশ্যই প্রিমিয়াম সফটওয়ার ফ্রিতে ইউজ করা বাদ দিন সেই সাথে কোনো এক্সটার্নাল লিঙ্ক এবং অ্যাডে ক্লিক করার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুণ।
Labels: Hacking
0 Comments:
Post a Comment
Subscribe to Post Comments [Atom]
<< Home